১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট আসল না জাল, তা চেনার চার উপায় বের করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এগুলো হচ্ছে- নিরাপত্তা সুতা, রং পরিবর্তনশীল কালি, অসমতল ছাপা এবং অতি সূক্ষ্ম আকারের লেখা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
নিরাপত্তা সুতা : ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা নোটের নিরাপত্তা সুতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো এবং নোটের মূল্যমান মুদ্রিত আছে, যা নোট এদিক-ওদিক করলে দেখা যাবে। ২০১৭ সালের জুন থেকে প্রচলিত ১০০ ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের নোটও এদিক-ওদিক করলে চুলের বেনি সদৃশ নিরাপত্তা সুতার একটি অংশ লাল থেকে সবুজ রংয়ে পরিবর্তন হবে এবং অপরটির সম্পূর্ণ অংশে বাংলায় লেখা নোটের মূল্যমান দেখা যাবে।
রং পরিবর্তনশীল কালি : ১০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমান নোট এদিক-ওদিক করলে রং পরিবর্তনশীল কালিতে মুদ্রিত অংশ সোনালি থেকে সবুজ এবং ৫০০ টাকা মূল্যমান নোটে এটি লালচে থেকে সবুজ হবে। তাছাড়া ১০০০ টাকা মূল্যমান নোটের পেছনে বামদিকে থাকা হালকা নীল রঙের বাংলাদেশ ব্যাংক লেখাটিও নোট এদিক-ওদিক করলে দেখা যাবে। কিন্তু ফটোকপি বা অফসেটে ছাপা জাল নোটের ক্ষেত্রে এ রঙের পরিবর্তন লক্ষ্যণীয় হবে না।
অসমতল ছাপা : ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক প্রকার নোটের সামনের ও পেছনের পিঠের ডিজাইন, মাঝখানের লেখা, ইংরেজি ও বাংলা সংখ্যায় লেখা নোটের মূল্যমান, ৭টি সমান্তরাল হেলানো সরলরেখা এবং এর নিচে অবস্থিত ছোট ছোট বৃত্তাকার ছাপ খসখসে অনুভূত হবে, যা জাল নোটের ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হবে না।
অতি সূক্ষ্ম আকারের লেখা : ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমান নোটের পেছনের পিঠের ডিম্বাঙ্কিত অংশে অতি সূক্ষ্ম আকারে বাংলাদেশ ব্যাংক লেখাগুলো আতশী কাচ ছাড়াও উন্নতমানের স্মার্ট মোবাইল ফোনের ক্যামেরা প্রয়োজন মতো জুম করে দেখা যাবে। কিন্তু জাল নোটের ক্ষেত্রে এটি দেখা যাবে না।