ঢাকা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) নির্বাহী পরিচালক রমিজ উদ্দিন সরকার। শুধু রাজধানীতেই তার বাড়ি রয়েছে পাঁচটি। গাজীপুরে রয়েছে একরের পর একর জমি। জন্মস্থান কুমিল্লায়ও একই অবস্থা। সম্পদ অর্জনে পিছিয়ে নেই তার স্ত্রীও। তার (স্ত্রী) নামেও রয়েছে ভূ-সম্পত্তি আর পুঁজিবাজারে বড় অংকের বিনিয়োগ।
আয়ের সঙ্গে সংগতি না থাকায় এসব সম্পত্তির উেসর খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এরই মধ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি।
অনুসন্ধানের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে রমিজ উদ্দিনকে দুদকে তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বণিক বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্র বলছে, রমিজ উদ্দিনের নামে রাজধানীর উত্তরা ৫ নং সেক্টরের ২ নং রোডে সাততলা বাড়ি, মিরপুরের পূর্ব মনিপুর ১৩০৭/ডি ঠিকানায় ছয়তলা বাড়ি, মিরপুরের ২৮ মল্লিকা মিল্ক ভিটা রোডে চারতলা বাড়ি, রামপুরা মহানগর হাউজিংয়ে ৮ নং রোডের ২০২ ব্লক-ডিতে সাড়ে চার কাঠা জমির ওপর পাঁচটি দোকান ও টিনশেড বাড়ি এবং পূর্ব
রামপুরা ১৭৭/৫/১ এলাকায় ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ জমির ওপর বাড়ির তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া টঙ্গী ও গাজীপুরে নামে-বেনামে রয়েছে ৩০ একর জমি। কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতেও রয়েছে একরের পর একর জমি।
জেলার মুরাদনগরে স্ত্রী সালমা পারভীনের নামে রয়েছে ৫০ বিঘা জমি। পুঁজিবাজারে এ দম্পতির নামে বড় অংকের বিনিয়োগ ছাড়াও
নামে-বেনামে বিপুল সম্পদ রয়েছে। এছাড়া রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গাজীপুরে জমি বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার ও পরে বাংলাদেশে ফেরত আনার অভিযোগও আছে। রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক শহিদুর রহমান। তথ্যসূত্র: বনিকবার্তা।