ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে হাইস্পিড ট্রেনের লাইনসহ এর সম্ভাব্যতা, সমীক্ষা ও ডিজাইন নির্মাণের চুক্তি সই করা হয়েছে। রেল ভবনে এ চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে, চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশন (চীন) এবং মজুমদার এন্টারপ্রাইজের (বাংলাদেশ) মধ্যে ত্রি-পক্ষীয় এ চুক্তি সই হয়েছে। এই তিন প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ট্রেন চালুর বিষয়ে সম্ভাব্যতা, সমীক্ষা ও ডিজাইন নির্মাণের কাজ করবে।
চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক মো. কামরুল আহসান ও কন্স্যালট্যান্সির পক্ষে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডিপার্টমেন্টের বিজনেস ম্যানেজার লিও উইচাও সই করেন। রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে ট্রেনে মাত্র দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। এতে সময় ও মানুষের ভোগান্তি কয়েকগুণ কমবে।
অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, রেলের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী, ১৮ মাসের মধ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং ডিটেইলড ডিজাইন কাজ শেষ করতে হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর চুক্তি মূল্য ১০২ কোটি ১০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৩০ টাকা। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে কনসালট্যান্সি সার্ভিসের এ কাজ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন হাইস্পিড ট্রেন (বুলেট) চালু হলে রেলপথে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব কমবে প্রায় ৯০ কিলোমিটার। কমবে যাত্রী ভোগান্তিও।
তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম।