দেশের অন্যান্য স্থানে পান চাষ হলেও সিরাজগঞ্জে এবারই প্রথম পান চাষ করে সাড়া ফেলেছেন সদর উপজেলার চন্দ্রকোনা গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান (৪০)। ৩ বছর ধরে পরীক্ষামূলকভাবে পান চাষ করার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন কৃষক আতাউর। অবশেষে এ বছর তিনি পান চাষে সফল হলেন। সিরাজগঞ্জে পান চাষ নতুন হওয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে কৃষকদের মাঝে।
জানা যায়, ২০১৭ সালে কৃষক আতাউর রাজশাহীতে বেড়াতে গিয়ে সেখানে পানের আবাদ দেখে অনুপ্রাণিত হন। রাজশাহী থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকায় ৪ হাজার পানের চারা কিনে এনে ১০ শতাংশ জমিতে পানের বরজ তৈরি করেন। পর পর দুবার বেশিরভাগ চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। পরে বন্ধুদের সহযোগীতায় আবারও শুরু করেন। নানা চেষ্টার পর অবশেষে সফল হয়েছেন তিনি।
খরচ দ্বিগুণ হলেও বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় লাভের আশা করছেন আতাউর। এরই মধ্যে তার বরজের পান পাতা বড় হয়েছে। বিক্রিও শুরু করেছেন। আতাউর জানান, দুই বার ক্ষতির পরেও ১০ শতাংশ জমিতে পান চাষে তার মোট খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকার মতো। এরই মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার টাকার পান বিক্রি করেছেন। প্রতি সপ্তাহে ৩ হাজার টাকার পান বিক্রি করছেন।
তিনি জানান, পান চাষের নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে পান গাছের লতা বাড়তি হলে আবার সে লতাগুলো মাটিতে ঢেকে দিতে হয় এখন সেই প্রস্তুতি চলছে। এ বাগান থেকে প্রতি বছর দেড় ১ লাখ টাকার পান বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন। স্থানীয় কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, পান অর্থকড়ি ফসল হলেও এতদিন এর চাষাবাদ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না অনেক কৃষকের। কিন্তু আতাউরের সাফল্যের পর এলাকার কৃষকেরা পান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার রুস্তম আলী জানান, উপজেলায় পান চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। নানা ফসল বৈচিত্রে ভরপুর সিরাজগঞ্জে কৃষক আতাউরের হাত ধরে অন্যান্য কৃষকদের মাঝে পান চাষ সম্প্রসারিত হোক। পান চাষে উদ্যোগী চাষিদের সবধরনের সহযোগিতা দিতে কৃষি বিভাগ প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। তথ্যসূত্র: রাইজিং বিডি।