এক সময় আমাদের দেশে কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হতো না। এর জন্য যেতে হতো অন্য কোনো দেশে। যা ছিল ব্যয়বহুল। কিন্তু বর্তমানে খুব সহজে কম খরচে দেশেই কিডনি প্রতিস্থাপন করা এখন সম্ভব।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র এক লাখ ষাট হাজার টাকার মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করা যায়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব মিলিয়ে এখানে খরচ হয় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা।
পৃথিবীর কোথাও এত অল্প খরচে কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব নয়। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও কিডনি প্রতিস্থাপন করতে গেলে এর চেয়ে তিন থেকে চারগুণ বেশি টাকা খরচ হয়।
আবার কেউ যদি সিঙ্গাপুরে যান তাহলে সেখানে পঞ্চাশ লাখ থেকে এককোটি টাকার মতো খরচ হয়। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে খরচ হয় প্রায় ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ লাখ টাকা। আবার কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচটাই শেষ নয়।
এরপরে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত আরও অনেক খরচ হয়ে যায়। প্রতিস্থাপনের পরে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেসব ওষুধ খাওয়া হয় তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।
তখন হুট করে দৌড়ে কিন্তু ভারতে যাওয়া যায় না। একেকবার যেতে দুই থেকে তিন লাখ টাকা খরচ হয়।
দেশের মানুষ যদি দেশের ডাক্তারদের উপর আস্থা রাখে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এত অল্প খরচে কিডনি প্রতিস্থাপন হচ্ছে তা যদি গণমাধ্যমে প্রচার হয় তাহলে দেশের অর্থ দেশেই রাখা সম্ভব হবে।
(লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট ডিভিশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।)