ধানের দাম নিয়ে কৃষকের অসন্তোষের বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ধানের দাম নিয়ে যে সমস্যা হয়েছে তা দ্রুতই সমাধান করা হবে। রাজধানীর আইডিইবি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ) আয়োজিত ‘জলবায়ু পরিবর্তন: কৃষিখাতের চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ইমিডিয়েট সমাধান হচ্ছে, যদি ধান রফতানিতে যাই। রফতানিতে যাওয়ার চেষ্টা করবো। হারভেস্ট হয়ে গেলে সিদ্ধান্ত নেব। এ সমস্যার সমাধান করবো। উৎপাদন বৃদ্ধি, মিল মালিকেরা আমন চাল বিক্রি করতে পারেনি বলে দাম কম।
এ মুহূর্তে সরকারের হাতে ধান কিনে দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ধানের দাম বাড়ানোর একমাত্র উপায় হল, চাল রপ্তানি করা। এটাও আমাদের চিন্তাভাবনা করে করতে হচ্ছে। আমি ও খাদ্যমন্ত্রী গতকাল এ বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
গতবারের মজুদ ৮/১০ লাখ টন ধান এখনো অবশিষ্ট আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মিলাররাও গতবার আমাদের অনুরোধে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ধান কিনে গুদামে রেখেছেন। তারাও সেগুলো এখন বিক্রি করতে পারছেন না। কৃষি খাতে বিপ্লব হয়েছে। এটা ভালো দিক।
এবার শুরু থেকেই ধানের দাম নিয়ে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। সরকার প্রতিকেজি ২৬ টাকা দরে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার ঘোষণা দিলেও কৃষক সেই দাম পাচ্ছে না। কৃষকের অভিযোগ, ধান বেচে যে দাম পাচ্ছেন তাতে খরচও উঠছে না।
এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবারও সচিবালয়ে সরকারের দুশ্চিন্তার কথা অবশ্য বলেছিলেন কৃষিমন্ত্রী। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, আপাতত ঝুঁকি নিয়ে হলেও চাল রপ্তানির সক্রিয় চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ, আইডিইবির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুর রহমান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক নুরুল ইসলাম, সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, বিসিজেএফের প্রচার সম্পাদক প্রসূন আশীষ।