কিছু ভিন্নধর্মী কথাবার্তা। অনেকের কাছে ভাল নাও লাগতে পারে….
পৃথিবীর কোথায় কি ঘটছে সে খবরটা রাখার চেষ্টা করুন। নিজ এলাকা, নিজ জেলা, নিজ বিভাগ এই পুরানো বক্সের বাইরে বের হোন। পৃথিবীর কোথায় কি ঘটছে সে খবরও একটু রাখার চেষ্টা করুন। নিজেকে ছোট্ট একটা বক্সের মধ্যে আটকে রাখার কোন মানে নেই। নোয়াখালী-বরিশাল কোন এলাকার মানুষ কেমন এগুলো নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। নোয়াখালীর লোকেরা বিভাগ চাইল, কি আলাদা একটা দেশ হিসেবে স্বীকৃতি চাইল এটা নিয়ে কথা বলে সময় নষ্ট করার কি আছে? পৃথিবীর কোথায় কি ঘটছে তা জানার চেষ্টা করুন। পৃথিবীটা ছোট নয়। এখানে জানার আছে শেখার আছে অনেক কিছু। তের হাজার মিলিয়ন বছর বয়সের এই পৃথিবীতে আপনি একমাত্র যার দ্বিতীয় কোন কপি নেই? বুঝেন আপনি কি জিনিস!
জাপানীজরা সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে এই মানুষের একটা কপি তৈরী করার জন্য চেষ্টা করছে। রোবট!! সাতাশ বছর গবেষণা করে তারা যা করতে পারছে, তা ট্রেতে করে এককাপ চা আপনার সামনে এনে একটা মুচকি হাসি দিতে পারবে না। অনুভব করতে পারছেন আপনি কি জিনিস? আপনার নার্ভ কাজ করে? হাত-পা আর ঘাড়ের ওপর মাথাটাও কাজ করে সুস্থ্য-স্বাভাবিক ভাবে? তারপরও বিশ্বাস করতে পারছেন না নিজেকে? আপনি সৃষ্টিকর্তার তৈরী সর্বশ্রেষ্ঠ জীব। আপনার ভিতর কি দিয়ে দিছে একবার শুধু আবিস্কার করার চেষ্টা করেই দেখেন? চালেঞ্জ নিন।
সুস্থ্য থাকতেও মাঝে মধ্যে হাসপাতালে ঘুরতে যেয়েন। আইসিইউ তে ভর্তি ক্যান্সার রুগীর দিকে একটিবার তাকিয়ে চিন্তা করে দেখেন ভিতরে কি যন্ত্রনা হচ্ছে তার। বেঁচে থাকার আত্মচিৎকার আপনার কান পর্যন্ত আসলে আপনি সেখানে বেশীক্ষণ থাকতে পারবেন না নিশ্চিত। অসুস্থ্য মানুষগুলোর থেকে আপনি কতটা ভাল আছেন অনুভব করতে পারেন? এরপরও নিজেকে সুখী ভাবতে পারেন না। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস আসে না?
ঘরের বাইরে বের হোন। বাইরেও যে একটা সুন্দর জগৎ আছে সেখান থেকে শেখার চেষ্টা করেন। জানার চেষ্টা করেন? ঘরে বসে যদি ব্যবসা শেখা যেত তাহলে কেউ কষ্ট করে বাদরের মত ঝুলে ঝুলে বাসে করে বসের হুকুম তামিলের জন্য রোজ অফিসে ছুটত না। উদ্যোক্তার খোঁজে পেইজের এডমিন সবজান্তা সমসের না। তার সব ব্যবসা জানা বোঝা নেই। তার ভান্ডারে সব ব্যবসার তথ্যও নেই। নিজেকে কাজে লাগান? কোথায় কি আছে, কোন কাজ কিভাবে হয়, কেন হয় খোঁজার চেষ্টা করেন? একদিনে সব পেয়ে যাবেন এমন না। লেগে থেকে বের করেন। ব্যবসা অনেক সহজ নয়। ছোট ছোট টেকনিক গুলো আয়ত্ব করার চেষ্টা করেন। প্রয়োজনের তাগিদে নিজে কষ্ট করে যেটুকু শিখবেন সেটা আপনার সবচেয়ে বেশী কাজে লাগবে।
চ্যালেঞ্জ নিন নিজের সাথে। একশ জনের মধ্যে পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি বলে ডাক দিলে অনেকেই এসে দাঁড়িয়ে যাবেন সামনে। এবার যদি বলি এদের মধ্যে কম্পিউটারে স্কিলড এমন যারা আছেন তারা বাদে বাকীরা! ৩০-৫০ শতাংশ উধাও। খুব ভাল ইংরেজী বলতে পারেন? ব্যস মুখ বাকিয়ে মাথা নিচু করে আরও ৬০-৮০ শতাংশ মাঠে মারা পড়বে। প্রেম পত্র লেখার অভিজ্ঞতার কথা না হয় নাই বললাম। এখানেও লিখিত ভাষায় কনভেন্স করার মত আলাদা যোগ্যতার দরকার হয়। আপনি বাড়তি কি যোগ্যতা অর্জন করেছেন যা নিয়ে আপনি ব্যবসায় সফল হবেন? কোন বাড়তি কৌশলে আপনি প্রতিযোগীতায় টিকে থেকে মার্কেট শেয়ার দখল করবেন?
অপ্রিয় হলেও সত্য! তেতো একটা কয়েকটা কথা বলি- অনেকে আমার লেখার নিয়মিত প্রশংসা করেন! এমনকি বন্ধুদের আড্ডায়ও। মাসুদুর ভাইকে চিনস? সেই লেভেলের মোটিভেশন আছে তার লেখায়! পড়! আপনার যে বন্ধুটি আমাকে চিনত না সেও নতুন করে চিনে নিল আমাকে। নিজ দায়িত্বে বিনা পয়সায় আমার প্রোমোট করে ফেললেন? নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো আর কি! ভাগ্যিস আমি আমার পাঠকদের সামনা-সামনি খুব কম আসি। নয়তো আমার সাথে সেলফি তুলে এতদিনে সেলিব্রেটি করে দিতেন আমাকে!
আপনি পেইজে এসে প্রতিদিন সময় করে লেখা পড়লেন। অনুপ্রেরণা পেলেন। কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে নিজের সাথে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কোন কিছু করতে পারলেন না। আপনার সবটা লস! এক্সাম খুবই ভাল হইছে। শুন্য পেয়েছেন। নিজের যোগ্যতার প্রমাণ করুন। নিজেকে স্কিলড হিসেবে তৈরী করুন। পেইজ ইনবক্সে, ফোনে, লম্বা প্রশংসার বানী আমাকে না শুনিয়ে বরং নিজেকে তৈরী করে দেখিয়ে দিন। ছয় মাস. একবছর. দুইবছর পর আমাকে এসে বলেন মাসুদুর ভাই আপনার লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি নিজেকে প্রমান করেছি। আমি এই প্রতিষ্ঠানটি দাঁড় করিয়েছি।
আমার স্বার্থকতা এখানেই..!!!