পদ্মা সেতু যেদিন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে, সেদিনই এর বুক দিয়ে চলবে রেল। সরকারের এমন প্রত্যাশায় সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। এর লক্ষ্য আরও দ্রুততম সময়ে রেল দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সংযোগ বৃদ্ধি করা।
আর এই ধারাবাহিকতায় সরকার ফরিদপুরের মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৯০ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ করার উদ্যোগ নিয়েছে। মাগুরা জেলাকে বাস্তবায়নাধীন পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ঢাকা ও দেশের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপন করতেই এ সংক্রান্ত প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এই রেল নির্মিত হলে পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত এই অঞ্চলে বাণিজ্য প্রসার ও অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ উন্নয়ন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০২ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের মে থেকে ২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে এ রেলপথ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রায় ৪৬ বছর আগে ফরিদপুর মধুখালী থেকে কামারখালী পর্যন্ত রেলপথ ছিল। কিন্তু এটা এখন আর ব্যবহার হয় না। তবে কামারখালী থেকে মাগুরা পর্যন্ত কোনো রেলপথ নেই। প্রকল্পের আওতায় মধুখালী থেকে কামারখালী পর্যন্ত বিদ্যমান রেলপথটি সংস্কার করে ব্রডগেজ এবং কামারখালী থেকে মাগুরা পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মিত হবে।
তথ্যসূত্র: আরটিভি অনলাইন।