পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হলে তা নবায়ন তো করতেই হবে। তবে যারা কখনো নবায়ন করেননি তারা জেনে নিন পাসপোর্ট (এমআরপি) নবায়ন করতে আপনার কি কি করনীয়। তো চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক!
ঢাকায় ৫টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস রয়েছে। এসব অফিস থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) নবায়ন করতে পারবেন। এই অঞ্চলগুলো হল- আগারগাঁও, উত্তরা, সচিবালয়, যাত্রাবাড়ী, ক্যান্টনমেন্ট। এই এলাকার আওতায় স্থায়ী-অস্থায়ী বসবাসকারী ব্যক্তিরা পাসপোর্ট করতে পারবেন। এ ছাড়া ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন জেলা শহরে পাসপোর্ট নবায়ন করা যায়।
আবেদন করবেন কিভাবে?
অনলাইন অথবা পাসপোর্ট অফিসে আপনাকে নির্ধারিত নবায়ন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। তারপর ফরমটি নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। ফরম পূরণ করার সময় আপনি যদি আপনার বর্তমান পাসপোর্টের কোনো তথ্য সংশোধন অথবা পরিবর্তন করতে চান সে ক্ষেত্রে নিচের ঘরে দুটি নিয়ম সুন্দর করে লেখা আছে।
যদি কোনো তথ্য পরিবর্তন করতে চান তাহলে দ্বিতীয় ঘরে লিখবেন। তবে স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করতে হলে পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়। আবেদনের সঙ্গে বর্তমান পাসপোর্টে যে পেইজে ছবি আছে সে পেইজ ফটোকপি ও জাতীয় পরিচয়পত্রসহ জমা দিতে হবে। সবার ওপরে টাকা জমার রশিদ আঠা দিয়ে লাগাতে হবে।
ফি কত লাগবে?
কয়েকটি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারবেন। যেমন সোনালী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ট্রাস্ট ব্যাংক। সাধারণ পাসপোর্টের জন্য যদি মেয়াদ শেষ এবং ১ বছরের মধ্যে হয় তখন ৩ হাজার ৭৯৫ টাকা জমা। মেয়াদ শেষ এবং ২ বছরের মধ্যে হলে ৪ হাজার ১৪০ টাকা। মেয়াদ শেষ এবং ৩ বছরের মধ্যে হলে ৪ হাজার ৪৮৫ টাকা। মেয়াদ শেষ এবং ৪ বছরের মধ্যে হলে ৪ হাজার ৮৩০ টাকা। মেয়াদ শেষ এবং ৫ বছরের মধ্যে হলে ৫ হাজার ১৭৫ টাকা।
এটি পেতে সময় লাগবে ২১ দিন। জরুরি করার জন্য মেয়াদ শেষ এবং ১ বছরের মধ্যে হলে ৭ হাজার ২৪৫ টাকা। মেয়াদ শেষ এবং ২ বছরের মধ্যে হলে ৭ হাজার ৫৯০ টাকা। মেয়াদ শেষ এবং ৩ বছরের মধ্যে হলে ৭ হাজার ৯৩৫ টাকা। মেয়াদ শেষ এবং ৪ বছরের মধ্যে হলে ৮ হাজার ২৮০ টাকা। মেয়াদ শেষ এবং ৫ বছরের মধ্যে হলে ৮ হাজার ৬২৫ টাকা। এটি পেতে সময় লাগবে ১১ দিন।
সব ঠিকঠাক থাকলে আপনাকে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। তারপর আপনি পাসপোর্টটি আনতে পারবেন। আরও বিস্তারিত জানতে www.dip.gov.bd এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন “