৬৫ শতাংশ ব্যাংকেই অবসর সুবিধা বা পেনশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। মাত্র ৩৫ শতাংশ পাবলিক কমার্শিয়াল ব্যাংকে পেনশনের ব্যবস্থা রয়েছে। যা ব্যাংক খাতের কর্মচারীদের জন্য একটি দু:সংবাদ। অর্থনীতিবিদদের মতে এই পেশা থেকে অবসর গ্রহণ করার পর আর কোনো কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ থাকেনা কর্মীদের। গুরুত্বপূর্ণ এই খাতের কর্মীদের কথা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলেই কার্যকরী উদ্যোগ নিতে পারে বলে মনে করেন তারা।
এছাড়াও আরও একটি আশঙ্কাজনক বিষয় হল ২৯ শতাংশ ব্যাংকার মনে করেন তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নে এই সংস্কৃতি পরিহার করা খুবই জরুরি। ব্যাংকের মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতের চিত্র হওয়া উচিত সেবামূলক। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। এই সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ব্যাংকাররা।
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট’র (বিআইবিএম) সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে কাজ করতে গিয়ে নানা ধরনের সমস্যা বা অভিযোগ করার কোন সুযোগ নেই ৩৮ শতাংশ ব্যাংকে। বেশিরভাগ ব্যাংকে অভিযোগ সেল থাকলেও ৪৫ শতাংশ ব্যাংকে সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়োগকৃত আলাদা কোন অফিসার নেই। যেটা ব্যাংকের জন্য অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। ব্যাংকিং খাতকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হলে অভিযোগ সেল এবং সমস্যা সমাধানের জন্য আলাদা কর্মী থাকা দরকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে ৬১ শতাংশ ব্যাংকার মনে করেন ব্যাংকিং খাতে নীতিবান নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। ফলে এ খাতে অনিয়ম এবং দুর্নীতির ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। ব্যাংকিং খাতে নৈতিকতা সম্পন্ন নেতৃত্ব দরকার বলে জানিয়েছে ব্যাংকাররা।
এ বিষয়ে ওয়ান ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কোম্পানি সেক্রেটারি জন সরকার বলেন, ব্যাংকের পরিবেশ পরিবারের মতো করে গড়ে তুলতে হবে। ভালাবাসার কারণে পরিবার যেমন টিকে থাকে, ঠিক তেমনি ব্যাংকের মধ্যেও একই পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
তথ্যসূত্র: অর্থসূচক ডটকম।