পরপর ৫ বার ফাইনালে উঠেও শিরোপা জয়ের স্বাদ নেয়া হলো না…নেয়া হয়েছে তিক্ত স্বাদের অভিজ্ঞতা! অধরা স্বপ্নের রাস্তা যে প্রশস্ত হয়ে হয়ে অধরায় থেকে যাবে, আক্ষেপ বাড়বে, অনুসূচনা হবে, হার্ট অ্যাটাকের উপক্রম হবে, কাব্যকে মহাকাব্যে রূপ দেয়া যাবে না সেটা মানতে আশ্চর্য রকমের মন খারাপ হয়।
পুরো ম্যাচে আধ্যিপত্য বিস্তার করে শিরোপা জয়ের প্রান্তলগ্নে এসেও শিরোপা হাতছাড়া! কোন জাতি মৌন সম্মতি জানাবে, ম্যাচের ভুল সিদ্ধান্ত বাজে বল করা, বাজে ব্যাট করা নিয়ে কোন জাতি তর্কে জড়াবে না, কোন জাতি বুক ফাটা কান্না চেপে হা-হুতাশ করবে না কেউ বলতে পারেন ?
আমরা যেন সাউথ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের মতো চোকার হয়ে গেছি..ক্রিকেট মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধে অপরিপক্কতার ছাপ আমাদের এখনো গ্রাস করছে। দেখা যাচ্ছে বড় কোন গুরুত্বপূর্ন ম্যাচের চাপ নিতে পারছি না। বরাবরই রিক্ত হস্তে ফিরতে হচ্ছে জয়ের আশা জাগিয়েও।
ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা মানি। আর এও মানতে হচ্ছে দিনটা আমাদের পক্ষে ছিল না। তা না হলে রুবেল হোসেন তার প্রথম ৩ ওভার দূর্দান্ত বল করে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে গিয়েও ৪ নম্বর এবং ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ ওভারে এসে দীনেশ কার্তিকের কাছে ধরাশায়ী হলো।
সমস্যা এক জায়গায় মনস্তাত্ত্বিক চাপ নেয়াতে অপরিপক্কতা। সাকিব আল হাসান বিশ্ব মানের খেলোয়ার, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার কিন্তু দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়াতে ভুল ছিল এ কথা মানতেই হবে..!
দলে মিরাজ(১ওভার),মাহমুদউল্লাহর মতো সহিহ বোলার থাকতেও কেন তাদের বল করানো হলো না প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়! আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ফাইনালের চাপ নিতে আমরা কবে পরিপক্ক হবো?
প্রশ্ন,ক্ষোভ,আক্ষেপ থাকা সত্ত্বেও আমরা যে ক্রিকেটের কাছে হেরে গেছি এটা মানতেই হবে আর এটাই সার্বজনিন সত্য। ফিল্ডিং মিস,ক্যাচ মিস,অধিনায়কের ভুল সিদান্ত এগুলো অন্য কোন খেলা না ক্রিকেট খেলারই অংশ তা না হলে সেটা অন্য কোনকিছু হতো!
লেখক:
মাকসুদ আলম মিলন
উদ্যোক্তার খোঁজে ডটকম।