বাংলাদেশে মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু আয় এখন (২০১৮-২০১৯ অর্থবছর) ১ হাজার ৯০৯ ডলার। এটি গত বছরে ছিল ১ হাজার ৭৫১ ডলার। আর এতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিও বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ।
গত বছর এ প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। দেশের বর্তমান আর্থিক অবস্থার বিবেচনা করেই হাতে চার মাস বাকি রেখেই মাথাপিছু আয়ের তথ্য দেওয়া হয় সভায়। শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
বৈঠকে দেশের সমগ্র প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) শামসুল আলম ও পরিকল্পনাসচিব নুরুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের সামগ্রিক আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়ায় প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বেড়েছে। সবখাতে আয় ভালো হয়েছে। শিল্প, বিনিয়োগ, রেমিট্যান্স- সব কিছুর প্রবৃদ্ধি ভালো হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ভালো হওয়ায় মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে।
গত বছর কৃষিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ, বর্তমানে তা হয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। তবে শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ০২ শতাংশ, গত বছর একই সময়ে ছিল ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ। সেবাখাতে প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, গত বছর একই সময়ে ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে প্রবৃদ্ধি কমলেও বেড়েছে সেবা ও শিল্প খাতে। ফলে মাথাপিছু আয় ও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। হাতে চার মাস বাকি থাকলেও সামগ্রিক আর্থিক চিত্র দেখা বলা হচ্ছে বছর শেষে প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়বে। আমরা যে ফিগার দিলাম বছর শেষে আরও বেশিও হতে পারে।
বেসরকারি খাতকে প্রবৃদ্ধির ‘ইঞ্জিন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিনিয়োগ সম্প্রসারণে সরকার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা অধিকতর বিনিয়োগে উৎসাহী হন। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ১ হাজার ৯০৯ ডলার। গত অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৭৫১ ডলার।