বাংলাদেশে সালফিউরিক অ্যাসিড প্লান্ট স্থাপনে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আউটেক সাউথইস্ট এশিয়া-প্যাসিফিক। চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত টিএসপি কমপ্লেক্সে এ প্লান্ট স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এটি নির্মিত হলে সালফিউরিক অ্যাসিডের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দেশীয় উৎপাদন থেকেই জোগান দেয়া সম্ভব হবে।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বৈঠকে প্লান্ট স্থাপনের এ প্রস্তাব দেয় আউটেক সাউথইস্ট এশিয়া-প্যাসিফিকের একটি প্রতিনিধি দল। শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব একেএম শামসুল আরেফীন, প্রতিনিধি দলের প্রধান ও আউটেক সাউথইস্ট এশিয়া-প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস অর্মস্টন, ব্যবস্থাপক ইন্দ্রনীল চক্রবর্তীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের শিল্প খাতে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় টিএসপি কমপ্লেক্সে নতুন টিএসপি সার কারখানা স্থাপন, সালফিউরিক অ্যাসিড উৎপাদন এবং টিএসপি থেকে বাই-প্রডাক্ট উৎপাদনে সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।

বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী টিএসপি কমপ্লেক্সে নতুন টিএসপি সার কারখানা স্থাপনের বিষয়ে প্রতিনিধি দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার শিল্প খাতে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। বিদেশী বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এরই মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

তিনি টিএসপি ও সালফিউরিক অ্যাসিড উৎপাদনের জন্য একটি সমন্বিত কারিগরি প্রস্তাব দাখিলের জন্য প্রতিনিধি দলকে পরামর্শ দেন। বাংলাদেশের স্বার্থের অনুকূলে হলে সরকার প্রস্তাবের বিষয়ে দ্রুত ইতিবাচক উদ্যোগ নেবে বলে প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী।

তিনি কারিগরি প্রস্তাবের আগে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত টিএসপি কমপ্লেক্স সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য প্রতিনিধি দলকে পরামর্শ দেন।শিল্প মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে টিএসপি সারের চাহিদা প্রায় সাত লাখ মেট্রিক টন। বিসিআইসির আওতাধীন চট্টগ্রাম টিএসপি কমপ্লেক্সের একটি ইউনিটে বছরে এক লাখ মেট্রিক টন টিএসপি সার উৎপাদিত হয়।

জাতীয় চাহিদার অবশিষ্ট অংশ আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে টিএসপি সার ও সালফিউরিক অ্যাসিড উৎপাদনে যৌথ বিনিয়োগ দেশের জন্য লাভজনক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।