ব্যাপক বিক্রি কমেছে অ্যাপলের আইফোনের। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই প্রযুক্তি জায়ান্ট এর আগে আইফোনের এত কম বিক্রি আর দেখেনি। তবে বিক্রি বাড়াতে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চীনের বাজারে আইফোনের দাম কমিয়েছে তারা। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ বিক্রি কমেছে আইফোনের।
এ ছাড়া অ্যাপলের সব পণ্যের মোট বিক্রির পরিমাণ ৫৮ বিলিয়ন ডলার। অবশ্য এর আগে বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, এই তিন মাসে অ্যাপলের বিক্রি হবে ৫৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের। গত বছরের শেষ প্রান্তিক, অর্থাৎ অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে অ্যাপলের মোট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৬১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।
বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম তিন মাসে ৩১ বিলিয়ন ডলারের আইফোন বিক্রি হয়েছে। তবে এতে হতাশ নন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক। তিনি বলেন, মার্চের শেষ নাগাদ বিক্রি বেশ বাড়তে শুরু করেছে।
এমনকি চাহিদা বাড়ানোর জন্য চীনে দাম কমানোর পরও আয় বাড়ছে। এ ছাড়া পরবর্তী তিন মাসে (এপ্রিল মে জুন) অবস্থার উন্নতি হবে বলেই আশা করছে অ্যাপল। টিম কুক জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য আলোচনায় চাহিদা কিছুটা বাড়ছে অ্যাপল ওয়াচের।
এপ্রিল থেকে চীনের বাজারে অ্যাপলের সর্বশেষ সংস্করণ ৬৪ জিবি আইফোন এক্সএস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২২০ ডলারে। আগের তুলনায় ডিভাইসটি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ কমে পাচ্ছেন চীনের ক্রেতারা। চলতি বছরের শুরুতেই বিক্রি কমে যাবে—এমন পূর্বাভাস দিয়েছিল অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চীনে বিক্রি কমে যাওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
কারণ, সেখানে অপেক্ষাকৃত কম দামি হুয়াওয়ে ও শাওমি ফোন কোম্পানির সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে আইফোনকে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চীনে অ্যাপলের আইফোন বিক্রি গত প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কমেছে ২০ শতাংশ।