বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৬তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে বৈশ্বিক গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) ক্ষেত্রে বৃহত্তম দেশ হিসাবে উত্তরণ ঘটতে পারে।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ২০৩০’ শীর্ষক এইচএসবিসি গ্লোবাল রিপোর্টে একথা বলা হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) নিউজ বুলেটিনের (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৮) সম্পাদকীয় শাখায় এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
তাদের বুলেটিনে বলা হয়, ‘ফিলিপাইন, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়াকে পেছনে ফেলে দেশটি (বাংলাদেশ) বিশ্বের ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে যাচ্ছে।’
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে এবং আর্থ-সামাজিক গতিশীলতার কারণে ‘গ্লোবাল ব্র্যান্ড ভ্যালু ইনডেক্স’-এ বাংলাদেশের অবস্থান ৩৯তম।
লন্ডন ভিত্তিক ‘ব্র্যান্ড ফাইন্যান্স’-এর ‘ন্যাশনাল ব্র্যান্ডস ২০১৮’ প্রতিবেদন অনুসারে বর্তমানে বাংলাদেশের ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু’ ২৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আইসিসিবি নিউজ বুলেটিনে বলা হয়, বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি চমৎকারভাবে ৬ শতাংশের অধিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধরে রেখেছে এবং গত দু’বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বুলেটিন অনুসারে, টেকসই জিডিপি প্রবৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই), সরকারের বিনিয়োগ বান্ধব কার্যক্রম, ‘ওয়ান-স্টপ-সার্ভিস’ অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সাবলীল করেছে।
পাশাপাশি, বেসরকারি ও সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের সুবিধার্থে সরকার অনেকগুলো ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ (এসইজেড) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে। বাণিজ্য ও শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য জমির সংকট দূর করার জন্য সরকার ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। ইতিমধ্যে ১০০টির মধ্যে ৭৬টির জন্য জমি নির্ধারণ করেছে।