কৃষি ও পোশাকশিল্পে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পরছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশের উন্নয়নের চাকা কেউ আর থামাতে পারবে না। এ অগ্রযাত্রায় কৃষিবিদ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের অসামান্য অবদান রয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) আয়োজিত বার্ষিক গবেষণা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক এম এ এম ইয়াহিয়া খন্দকারের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন হয়।
আবদুল মান্নান বলেন, নানা কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশের অনেক জমি কমে যাচ্ছে। কৃষিবিজ্ঞানীদের ভাবতে হবে যে কীভাবে কম জমিতে আরও বেশি উৎপাদন করা যায়। তিনি বলেন, ‘কৃষি ও পোশাকশিল্পে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, আমাদের দেশে তৈরি পোশাক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরছেন। দেশের উন্নয়নের চলমান চাকা কেউ আর থামিয়ে রাখতে পারবে না। দেশের এ অগ্রযাত্রায় কৃষিবিদ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের অসামান্য অবদান রয়েছে।’
গবেষণা খাতে বিশেষ অবদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শ্রেষ্ঠ গবেষককে সম্মাননা ও সনদ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের দুজন করে মোট ১২ জন শিক্ষককেও গবেষণার জন্য সম্মাননা ও সনদ দেওয়া হয়। তা ছাড়া দুই দিনের কর্মশালায় গবেষকদের ২৪৪টি মৌখিক উপস্থাপনা ও ১০৬টি গবেষণা পোস্টার উপস্থাপন করা হবে।
দেশসেরা সবজিচাষি হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বেলি বেগম ও সিদ্দিকুর রহমানকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করেন আবদুল মান্নান। অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য মো. আলী আকবর।
এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মো. জসিমউদ্দিন খান, অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্নের অধ্যাপক উইলিয়াম এরস্কাইন, ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডাইরেক্টর ম্যালকম ডিকসন, মিল্ক ভিটার মহাব্যবস্থাপক মো. আতাহার আলী উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো ডটকম।