রোজা রেখে নিত্যদিনের কাজ। আবহাওয়াও গরম। দীর্ঘক্ষণ পানি পান না করে আমাদের দেহে দেখা দেয় পানিশূন্যতা। ইফতার করার পর তাই শরীরে অবসাদ চলে আসে। দিনে যেহেতু সুযোগ নেই, রাতে পানির ঘাটতি মেটানোর জন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পানি পান করলে পানিশূন্যতা রোধ করা সম্ভব। অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। কারণ অতিরিক্ত খাবার পরিপাকে অতিরিক্ত পানি খরচ হয়।
কেন হয় পানিশূন্যতা: দীর্ঘক্ষণ পানি না পান করার কারণে। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান না করা। বেশি তেল বা ভাজা-পোড়া খাবার খাওয়া যা পরিপাকে প্রচুর পানি ব্যয় হয়। অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম ও অতিরিক্ত গরম। নএ ছাড়া অনেকের জ্বর, ডায়রিয়া ইত্যাদি কারণেও পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
কী করবেন: সেহরি ও ইফতারের মধ্যবর্তী সময়ে পানি বেশি করে পান করতে হবে। বারবার পান করতে হবে। সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে, যা সহজে পরিপাক হয়। বেশি তেল, মসলাযুক্ত খাবার, ভাজা-পোড়া ইত্যাদি খাবার পরিহার করতে হবে, যা পরিপাকে প্রচুর পানি ব্যয় হয়।অতিরিক্ত পরিশ্রম, অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ বাদ দিতে হবে। ইফতারে বিভিন্ন ফলের রস খেলে সারা দিনের পানিশূন্যতা দ্রুত কমে যায়।
ডাবের পানি, খাবার স্যালাইন পান করলে লবন ও পানিশূন্যতা দ্রুত ভালো করে। এই সময়ে জ্বর বা ডায়রিয়া ইত্যাদি কারণে পানিশূন্যতা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যাঁদের ওষুধ সেবনজনিত পানিশূন্যতা হয়, তাঁদের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়া রোদে সরাসরি যাবেন না, ছাতা ও রোদচশমা ব্যবহার করবেন।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।