দেশের আবাসন খাতের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান শেলটেক ৩০ বছর পূর্ণ করছে কাল সোমবার। এই দীর্ঘ সময়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১৬০টি প্রকল্পের ৩ হাজার ৫০০ ফ্ল্যাট ক্রেতাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। এসব ফ্ল্যাটে বর্তমানে সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ বসবাস করছে।
শেলটেকের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী মঙ্গলবার থেকে আবাসন মেলা আয়োজন করছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯ দিনের এই মেলায় শেলটেক বীথিকা, শেলটেক রেনু-কবির টাওয়ার ছাড়াও বনানী, ধানমন্ডি, নিউ ইস্কাটন, মিরপুর, শান্তিনগর, চামেলিবাগ, সিদ্ধেশ্বরী ও বাসাবো এলাকায় প্রস্তুত ও নির্মাণাধীন প্রকল্পের ফ্ল্যাট বিক্রি হবে। প্রকল্পভেদে প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের দাম ৬ হাজার থেকে ১৭ হাজার ৯০০ টাকা। মেলায় প্রতিটি ফ্ল্যাটে ২ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্যছাড় দেওয়া হবে। মেলায় ফ্ল্যাট ছাড়াও বাণিজ্যিক স্পেস মিলবে।
শেলটেকের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘শেলটেকের ৩০ বছরের যাত্রায় বেশ কিছু বছর আর্থিক অবস্থা খারাপ গেছে। তবে বিষয়টি আমরা কাউকে বুঝতে দেইনি। ক্রেতাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেই। এমন পরিস্থিতিতে পড়লে অন্য আবাসন প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের কাজের গতি কমিয়ে দেন। আমরা কখনও সেটি করিনি।’ তিনি জানান, আবাসনের পাশাপাশি নির্মাণ ব্যবসা, হোটেল, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ব্রোকারেজ হাউসসহ বিভিন্ন ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে শেলটেক। এ ছাড়া শিগগিরই মেঝে ও দেয়ালের টাইলস উৎপাদনে যাচ্ছে শেলটেক।
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌফিক এম. সেরাজ বলেন, ‘আমরা দেশে অ্যাপার্টমেন্ট সংস্কৃতিকে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছি। আমাদের সবগুলো প্রকল্পের নির্মাণকাজে যুক্ত শ্রমিকেরা নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করে। বর্তমানে যে কোনো ভবন করার সক্ষমতা আছে শেলটেকের।’ তিনি বলেন, ‘মালিবাগে শেলটেক এনক্লেভ নামের ১৬টি অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প দিয়ে আমাদের হাতেখড়ি হয়েছিল। সেই ভবন ও আশপাশের আরও জায়গা নিয়ে নতুন একটি প্রকল্প হচ্ছে। সেখানে থাকবে ১৩৫ ফ্ল্যাট। গাড়ি পার্কিং থাকবে ১৪০টি। নিজেদের তৈরি প্রকল্প নতুন করে আবার নির্মাণ করাও দেশের আবাসন খাতের জন্য একটি মাইলফলক।’
রাজধানীর পান্থপথে শেলটেকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন শেলটেকের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দীন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌফিক এম. সেরাজ, পরিচালক সামিয়া সেরাজ ও তানভীর আহমেদ।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো ডটকম।