মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট জেফ বেজোসের পেছনে লেগেছে সৌদি আরব। মূলত গত অক্টোবরে তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক খুনের ঘটনার পর থেকেই বেজোসের সেলফোন হ্যাক করে ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন বেজোসের কোম্পানির নিরাপত্তাপ্রধান গ্যাভিন ডি বেকার। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
সাবেক টিভি অ্যাংকর লরেন সানচেজের সঙ্গে ডেট করছেন অ্যামাজন সিইও জেফ বেজোস। গত জানুয়ারিতে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে ন্যাশনাল ইনকোয়ারার নামে একটি মার্কিন ট্যাবলয়েড। দুজনের মধ্যে চালাচালি সেলফোন বার্তা ও ঘনিষ্ঠ ছবি প্রকাশ করে তারা। এ বিষয়টির তদন্ত করতে গিয়েই সৌদি-সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করছেন অ্যামাজনের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডি বেকার।
গত জানুয়ারিতে স্ত্রী ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর জেফ বেজোস ট্যাবলয়েডগুলোর প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হন। নানা গল্প ফাঁদতে থাকে তারা। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা প্রতিবেদনটি করে ন্যাশনাল ইনকোয়েরার। গত ফেব্রুয়ারি জেফ বেজোস অভিযোগ করেন, সানচেজের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ ছবি প্রকাশ করে এ ট্যাবলয়েডটি তাকে ব্ল্যাকমেইল করে চাঁদাবাজির চেষ্টা করছে।
এছাড়া ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগি খুনের ঘটনার বিরতিহীন কভারেজ দিয়েছে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট। বিষয়টি পছন্দ করেননি সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। কারণ এ খুনের পেছনে ঘুরে-ফিরেই তার নাম এসেছে। মার্কিন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পক্ষ থেকে এ ধারণার সপক্ষে জোরালো সমর্থনও এসেছে।
ডেইলি বিস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত একটি নিবন্ধে ডি বেকার লিখেছেন, ন্যাশনাল ইনকোয়ারারের প্যারেন্ট কোম্পানি আমেরিকান মিডিয়া ইনকরপোরেশন হ্যাক করে বা আঁড়ি পেতে তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।
‘তবে আমাদের তদন্তকারী এবং একাধিক বিশেষজ্ঞ নিশ্চিত হয়েছেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ বেজোসের ফোনে আঁড়ি পেতেছে এবং ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। তবে কতটা গভীরে তারা যেতে পেরেছে, তা নিশ্চিত নয়।’
ডি বেকার আরো বলেন, সাংবাদিক জামাল খাসোগি খুনের ঘটনার পর থেকেই বেজোসের মালিকানাধীন ওয়াশিংটন পোস্ট সৌদি কর্তৃপক্ষের কড়া নজরদারিতে চলে আসে। তবে ওয়াশিংটনের সৌদি দূতাবাস এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।