সাফল্যের পথে মাঝে মাঝে সবথেকে বড় বাধা হয়ে দাড়ায় আত্মসত্তা -এ কথাকে উড়িয়ে দেয়ার আগে ভালভাবে একবার জীবনের দিকে তাকানো উচিৎ। সফল হতে চাইলে বাধা আসবেই, এটা ধ্রুব সত্যি। কিন্তু তারপরেই মানুষ সফলতার শিখরে উঠতে পারছে। তার মানে ব্যর্থ মানুষের নিশ্চয়ই ব্যর্থতার কিছু কারণ আছে।
সাফল্য একদিনেই আসে না। এর জন্য ইচ্ছাশক্তিও প্রয়োজন। আমরা সবাই তো জানি যে, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। অবশ্যই সফলতার জন্য কঠোর পরিশ্রম, শৃঙ্খলা ও সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কিন্তু পরিশেষে সেই সাফল্য নিজের ওপরেই নির্ভরশীল!
স্বপ্নকে সত্যি করতে চাইলে তাকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। স্বপ্নকে আঁকরে ধরে বাঁচতে হবে। অলিম্পিক অ্যাথলেটরা যেমন প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করে যায় এই স্বপ্ন দেখে যে একদিন তারা অলিম্পিক পদক জিতবে, ঠিক একইরকম জেদ আর দৃঢ় মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে ব্যবসায় সফলতার জন্য।
স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে নিন্দুকের অভাব হয় না। তারা নিজেরা হয়তো পারে নি, স্বপ্নে বিশ্বাসী নয় কিংবা অপরের সাফল্যের ক্ষুধা দেখে ঈর্ষান্বিত। কিন্তু তারা সবসময়ই চাইবে অন্যকে নিচে নামাতে। এসব নিন্দুকের কথা ভুলে নিজের স্বপ্নপূরণে মনোযোগী হওয়া উচিৎ। স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস কিংবা ধর্মে মনোযোগী না হলেও একটা বিশ্বাস থাকা ভালো যা মনে সাহস যোগায়। স্রষ্টা সবার জন্যই কিছু না কিছু ভেবে রেখেছেন এবং তিনি সবার কাছ থেকে সেরাটা চান- এই বিশ্বাস অনেক প্রেরণাদায়ক।
সফলতা একবারেই নাও আসতে পারে। এজন্য বারংবার চেষ্টা আর পরিশ্রম করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই কিছু চেষ্টা আর পরিশ্রমের পর সফল হতে না পারলে হাল ছেড়ে দেয়। কিন্তু ব্যর্থতাই সাফল্যকে আরও কাছে এনে দেয়। তাই সফলতার পথে পিছে ফিরে তাকানো চলবে না কখনোই। মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠের মতই ব্যর্থতার পরেই সাফল্যের স্থান।
স্বপ্নপূরণে নিজের মনোবল আর দৃঢ়তাই যথেষ্ট। মনেপ্রাণে যদি বিশ্বাস করা যায় যে ঈশ্বর আমাদের জন্য যা ভেবে রেখেছেন তার পূর্ণতা দিতে পারি আমরাই, তবে অবশ্যই অর্থ-সম্পদের মালিক হওয়া সম্ভব। তবে সম্পদ পাওয়ার পাশাপাশি দুস্থ মানুষের কল্যাণে সেই অর্থ খরচ করার মানসিকতাও থাকা উচিৎ যা সব ধর্মেরই মূলকথা।
স্বপ্নে বিশ্বাসী হওয়াটা সব থেকে জরুরি। নিজের স্বপ্ন নিজেকেই পূরণ করতে হবে। দৃঢ় প্রত্যয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে গেলে সাফল্য সময়ের ব্যাপার মাত্র।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।