উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্সের সদস্য তৈরি পোশাক কারখানার ৮৮ শতাংশ সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে শ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ৮৪ শতাংশ সংস্কারকাজ অন্তর্ভুক্ত আছে। তবে ৩২২ কারখানা তাদের সংশোধনী কর্মপরিকল্পনা (ক্যাপ) অনুযায়ী সব ধরনের সংস্কারকাজ সম্পন্ন করেছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক জেমস এফ মরিয়ার্টি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক ও প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা পল রাগবি এবং পরিচালক (পরিচালন) কামরুন্নেছা বাবলী।
সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে অ্যালায়েন্স গঠিত হয়। আগামী মে মাসে সেই সময় শেষ হলেও কার্যক্রম গোটাতে বাড়তি ছয় মাস লাগবে বলে জানান জেমস এফ মরিয়ার্টি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের নির্দিষ্ট সংস্থা অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম বুঝে নিতে ব্যর্থ হলে হয়তো আমরাই স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ব তদারকি করার জন্য।’
জেমস এফ মরিয়ার্টি বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের নিরাপত্তা উন্নয়নে বেশ অগ্রগতি করেছি। আমাদের কারখানা সংস্কারকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগেই ঘোষণা দিয়েছিলাম, চলতি বছরের শেষ নাগাদ অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম নিরাপত্তা তদারকি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করব। তবে সেই সংস্থাটির কার্যক্রম বিশ্বাসযোগ্য, আস্থাশীল, স্থানীয় অংশীদারের নিকট স্বচ্ছ ও বস্তুনিষ্ঠ হতে হবে।’
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো ডটকম।