সফলতা কারো জীবনে সহজে ধরা দেয় না। এজন্য প্রয়োজন হয় বহুদিন ধরে কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার। প্রত্যেকটি কাজের পেছনে থাকে। এ লেখায় থাকছে সফলতার জন্য কিছু বিষয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. কেন আমি এ কাজ করছি?
কোনো একটি কাজ করার আগে অবশ্যই তা করার কারণ জেনে নেওয়া উচিত। অন্যথায় কাজটি করার পেছনে মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে পারে।
২. আমার বৃহত্তম লক্ষ কী?
লক্ষ্য নির্ধারণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোনো নৌকা যেমন লক্ষ্যহীন পথ চললে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না তেমন জীবনের লক্ষ্য ছাড়া সফলতা পাওয়া যায় না।
৩. আমার শুরুর স্থান কোনটি?
প্রত্যেক বিষয়েরই একটি শুরু ও শেষ রয়েছে। কোনো বিষয় ভালোভাবে শুরু না করলে তা শেষ করার প্রশ্নই আসে না। একইভাবে কাজের শুরু ও শেষ পর্যন্ত কোন কোন প্রতিবন্ধকতা আসবে তা জেনে নিতে হবে।
৪. আমার শত্রু কে?
ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা জীবনের কোনো ক্ষেত্র, সবকিছুই একটি যুদ্ধের মতো বিষয়। নিজের শত্রুকে চিহ্নিত করা যুদ্ধজয়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই সর্বাগ্রে নিজের শত্রুদের চিহ্নিত করা উচিত।
৫. আমার কী কী প্রয়োজন?
কোনো বিষয়ে সফলতার জন্য অনেক সহায়ক জিনিসের প্রয়োজন হতে পারে। এ জিনিসগুলোর প্রয়োজনীয়তা জেনে নিয়ে সে চাহিদা পূরণে চেষ্টা করা উচিত।
৬. কার সহায়তা প্রয়োজন?
জীবনে সফলতার জন্য একা যুদ্ধ করার তুলনায় কারো সহায়তা পেলে তা সফলতায় ভুমিকা রাখে। এ কারণে নিজের জন্য কার কার সহায়তা প্রয়োজন তা জেনে নিয়ে তাদের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করতে হবে।
৭. আমার মাপকাঠি কী হবে?
সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা সব বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কিছু মাপকাঠি প্রয়োজন। এসব মাপকাঠি মেনে চললে তা সাফল্যকে বুঝতে সহায়তা করবে।
৮. কাজটি কিভাবে ভাগ করা যায়?
কোনো একটি বড় কাজ সমাধানের আগে তা ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নেওয়া উচিত। এতে সহজভাবে কাজটি করা যাবে।
৯. কখন কাজটি শুরু করতে হবে?
কাজ শুরু করার জন্য সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সফলতার জন্য যে কোনো কাজ দ্রুতই শুরু করা উচিত। এক্ষেত্রে জেনে রাখতে হবে, আপনি যদি কোনো কাজ শুরু করতে দেরি করেন তাহলে তা শেষ করতেও দেরি হবে।
তথ্যসুত্র: কালের কন্ঠ ডটকম। Exam Result