বিশ্বায়নের যুগে দ্রুত পাল্টাচ্ছে পৃথিবী। বিশেষ করে ব্যবসা বাণিজ্যের গতিবিধির বিভিন্ন পর্বে আসছে আমূল পরিবর্তন। দিন বদলের পালায় যেমন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে একইসাথে বিশ্বজুড়ে শিক্ষার ধরনও অনেক পাল্টে গেছে। এদিক দিয়ে অ্যাকাউন্টিং কৌশল, নিয়মানুবর্তিতায় যোগ হয়েছে বিচিত্র ধারা। যে কারণে পড়ালেখায় চাহিদার কারণে নতুন বিষয় সংযুক্ত হয়েছে।
এজন্য বিশেষ করে এখন সেই সব শিক্ষার প্রতি সবার আগ্রহ সবচেয়ে বেশি যেগুলোর চাহিদা, কারিকুলাম এবং গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বিশ্বজুড়ে। এ দেশে এমন একটি সমাদৃত সাবজেক্ট প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টিং। এটি চাকরি পাবার সাথে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত ক্যারিয়ার জীবন তৈরি করে দিচ্ছে। ব্যবসা বাণিজ্য খাতের বিষয় হচ্ছে প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টিং।
সব দেশে স্মার্ট বিজনেসের প্রসারের সাথে ব্যাপকভাবে এই বিষয়ের নির্বাহীদের চাহিদা বেড়ে চলেছে। দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড সার্টিফাইড অ্যাকাউন্টেন্টস (ACCA) এবং সার্টিফাইড অ্যাকাউন্টিং টেকনিশিয়ান (CAT) দুটিই প্রফেশনাল কোর্স। এসিসিএ—সিপিএ, সিএ, সিএমএ প্রভৃতির সমমানের। এটি জাতিসংঘ স্বীকৃত এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্টেন্টস-এর মেম্বার।
এটি আন্তর্জাতিক ডিগ্রি যে কারণে পুরো বিশ্বজুড়েই শিক্ষার্থীর কর্মক্ষেত্র বিদ্যমান থাকে। সিএ এবং এসিসিএর মধ্যে মূল পার্থক্য হলো সিএ স্থানীয় কারিকুলাম আর এসিসিএ হচ্ছে আপডেট কারিকুলাম। ACCA একমাত্র কোর্স যাতে যেকোনো পর্যায়ে ইংল্যান্ডসহ ১৭৩টি দেশে সম্পূর্ন ক্রেডিট ট্রান্সফার করা যায়।
অন্যদিকে ফাউন্ডেশন ডিপ্লোমা (FD) হচ্ছে এসিসিএর এন্ট্রি লেভেলের সুট অব কোয়ালিফিকেশন্স। যেকোনো শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা লেভেল শেষ করে সরাসরি এসিসিএর স্কিল মডিউলে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। এসএসসি বা এইচএসসি পাস শিক্ষার্থীরা সিএটি কোর্সে ভর্তি হতে পারে। সিএটি হচ্ছে অ্যাকাউন্টিং কোয়ালিফিকেশন, যেখানে অ্যাকাউন্টিংয়ের বেসিক থেকে শেখানো হয়।
এটি করার পর দ্রুত এসিসিএ কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। অন্যদিকে এইচএসসি বা ও লেভেল শেষে এফডিতে ভর্তি হয়ে সিএটি সম্পন্ন করতে পারে। আবার এ-লেভেল বা যেকোনো বিভাগ থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি করা থাকলে সরাসরি এসিসিএ ক্লাসে ভর্তি হওয়া যায়। তবে কারো অনার্স, মাস্টার্স, সিএ, আইসিএমএ কোয়ালিফিকেশন থাকলে ৯টি বিষয় পর্যন্ত অব্যাহতি পেতে পারে।
বিবিএ-এমবিএ পড়তে হলে এসএসসি পাসের পর এইচএসসি পাসের জন্য দুই বছর, বিবিএর জন্য ৪ বছর এমবিএর জন্য ২ বছর অর্থাত্ প্রায় ৬ থেকে ৭ বছর অপেক্ষা করতে হয়। সাথে খরচ তো রয়েছেই। কিন্তু এসএসসি-এইচএসসির পর যেকোনো শিক্ষার্থী ৪ থেকে ৫ বছরে আন্তর্জাতিক মানের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হতে পারে, একই সাথে বাংলাদেশের ব্যাচেলর ডিগ্রির তিন বছরে পেতে পারে অক্সফোর্ড ব্রুকস ইউনিভার্সিটির অ্যাপ্লাইড অ্যাকাউন্টিংসে অনার্স ডিগ্রি।
বিবিএ, এমবিএ করতে যেহেতু সময় বেশি লাগে কাজেই খরচও বেশি হয়। কোর্সটি যথেষ্ট সহজ। এই আন্তর্জাতিক প্রফেশনাল ডিগ্রি পরিচালনার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান চার্টার্ড ইউনিভার্সিটি কলেজ (www.cucedu.com)। এই কোর্সে এ দেশে সবচেয়ে বেশি সাফল্য এবং শিক্ষার্থী রয়েছে কলেজটির। আরও জানতে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৩৩০২৭৫২০ নম্বরে।