1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

চাকরী ছেড়ে গরুর খামারে সফল!

যোগ্যতা থাকার পরও অনেক চেষ্টা করে কোনো সরকারি চাকরি জোগাড় করতে পারেননি সিলেটের যুবক ফখরুল ইসলাম। শেষে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক কোম্পানিতে চাকরি নেন। পাঁচ বছর পর সেই চাকরিও ছেড়ে দেন ফখরুল। শুরু করেন খামার ব্যবসা। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরতে হয়নি। স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। পাঁচটি বিদেশি গরু দিয়ে শুরু করা খামারে বর্তমানে গরু রয়েছে ২৩টি।

সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে অবস্থিত মদিনা ডেইরি ফার্মে গেলে দেখা যায়, খামারে ১৫টি গাভী ও ৮টি বাছুরসহ ২৩টি গরু রয়েছে। উন্নতমানের শেডে রেখে গরুগুলোকে লালন-পালন করা হচ্ছে। খামারে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো থাকায় মলমূত্র সহজেই পরিষ্কার করা যায়।

খামার মালিক ফখরুল জানান, প্রতি মাসে খামারে মোট ব্যয় হয় দুই লাখ টাকা। আর আয় আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা। খামারে চারজন শ্রমিক দিন-রাতে কাজ করেন। প্রতিদিন একটি গাভী ১২ থেকে ১৩ লিটার দুধ দিয়ে থাকে। ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে এই দুধ বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া যে গবর পাওয়া যায়, সেই গবরগুলোও বিক্রি করা হয়। এক খামার শ্রমিক বলেন, আমরা চারজন শ্রমিক খামারে কাজ করি। মাসে ১০ হাজার টাকা বেতন পাই। সেই টাকায় আমাদের সংসার চলে।

ফখরুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালে প্রথমে ৫টি বিদেশি গরু দিয়ে খামার শুরু করি। বর্তমানে আমার খামারে গাভী-বাছুর মিলে ২৩টি গরু রয়েছে। খামারে প্রতিদিন দুধ ও গবর থেকে আয় প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন, খামার ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হয়েছি। এলাকার অনেক বেকার যুবক আমার খামার দেখে আগ্রহী হচ্ছেন।

তারা খামার সম্পর্কে জানতে চায়। খামার ব্যবসায় কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ফখরুল আমার সংবাদকে বলেন, আমি আইন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছি। ২০১৪ সালে শিক্ষাজীবন শেষ হয়। এরপর মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক কোম্পানিতে ১৫ হাজার টাকা বেতনে পাঁচ বছর চাকরি করি। একাধিকবার সরকারি চাকরির চেষ্টা করেও যোগদান করতে পারিনি। পরে খামার ব্যবসা শুরু করি। এখন আমি স্বাবলম্বী।

তিনি আরও বলেন, একসময় আমি চকরির পেছনে ছুটাছুটি করেছি। এখন নিজেই কর্মসংস্থান তৈরি করেছি। আমার খামারে চারজন শ্রমিক কাজ করে তাদের সংসার চালাচ্ছে; এটা আমাকে আনন্দ দেয়। সরকারিভাবে যদি খামারিদের সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হয়, তাহলে তার মতো অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক খামার ব্যবসায় আগ্রহী হবে বলে জানান তিনি।

সিলেট সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সবসময় ফখরুল ইসলামকে সহযোগিতা করে আসছি। নিয়মিত টিকা এবং ভিটামিন জাতীয় ওষুধ দিচ্ছি। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে এই খামার সব সুবিধা পাচ্ছে। আশা করছি আগামীতে এ সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত থাকবে।’ তথ্যসূত্র: আমার সংবাদ।

More News Of This Category