1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

ঢাকার অদূরে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি!

রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৩৫ মাইল উত্তরপশ্চিমে এবং মানিকগঞ্জ জেলা সদর থেকে ৫ মাইল পূর্বে সাটুরিয়া উপজেলায় বিখ্যাত বালিয়াটি জমিদার বাড়ি অবস্থিত। বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি প্রায় ২০০ বছর পুরাতন। এই জমিদারবাড়িটির উত্তরে একসময় গাজীখালী নদী প্রবাহিত হত। ১৬০০০ বর্গমিটার আয়তনের বিশাল এই জমিদারবাড়িটিতে প্রায় ২০০টি কক্ষ রয়েছে। জমিদারবাড়ির পেছনে অবস্থিত পুকুরের এক প্রান্তে চারটি ঘাট আছে এবং অপর প্রান্তে বেশকিছু শৌচাগার রয়েছে।

জমিদারবাড়ির একটি অংশ রায় চাঁদের কাছ থেকে অন্যান্য জমিদারদের প্রথম স্ত্রীদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্তির কারনে এই প্রাসাদটি ‘দশ-আনি-জমিদারবাড়ি’ নামে পরিচিত ছিল। জমিদার কিশোরিলাল চৌধুরী এবং রায়বাহাদুর হরেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরী এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে জ্ঞান বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন এবং এই কারনে জগন্নাথ কলেজ এবং কে এল জুবিলী হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। মূল জমিদারবাড়িতে পাঁচটি একই রকম কিন্তু ভিন্ন ভাগ ছিল। জমিদারবাড়ির দক্ষিনে বর্তমানে স্থায়ী ৪টি আকর্ষণীয় অংশ অবস্থিত। এগুলোর মধ্যে মাঝের দুটি অংশ হল দোতলা এবং পাশের বাকি তিনটি অংশ তিনতলা।

জমিদারবাড়িকে ঘিরে থাকা সুউচ্চ প্রাচীরে তিনটি চমৎকার স্থাপত্যশৈলীর ফটক রয়েছে। বর্তমানে ‘বালিয়াতি প্রাসাদ’ নামকরণ করে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর এই জমিদারবাড়িটির অধিগ্রহন করে দেখাশোনা করছে। সময় এবং সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে জমিদারবাড়িটিকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে বারোটি অধ্যায়ের মাধ্যমে। প্রথমভাগে সময়, শৈলী এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয়ভাগে জমিদারবাড়ির স্থাপত্যশৈলীর বিস্তারিত বিবরন ক্রমঅনুযায়ী বর্ণনা করা হয়েছে। শেষভাগে বর্তমান প্রেক্ষাপটে জমিদারবাড়ির গুরুত্বকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এক কথায় বলা যায় প্রথম থেকে বর্তমান পর্যন্ত এই জমিদারবাড়ির ইতিহাস চমৎকারভাবে ক্রমঅনুযায়ী বর্ণনা করা হয়েছে।

কিভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৩৫ মাইল উত্তরপশ্চিমে এবং মানিকগঞ্জ জেলা সদর থেকে ৫ মাইল পূর্বে সাটুরিয়া উপজেলায় বিখ্যাত বালিয়াটি জমিদার বাড়ি অবস্থিত।

কিভাবে পৌঁছাবেন: মানিকগঞ্জ জেলা
মানিকগঞ্জ জেলার উত্তরে টাঙ্গাইল জেলা, পূর্বে ঢাকা জেলা, দক্ষিনে ফরিদপুর এবং ঢাকা জেলা এবং পশ্চিমে পদ্মা নদী, যমুনা নদী এবং পাবনা জেলা ও রাজবাড়ি জেলা অবস্থিত। ঢাকার গাবতলি এবং গুলিস্তান থেকে বেশকিছু বাস যেমনঃ বিআরটিসি বাস সার্ভিস, শুভযাত্রা বাস সার্ভিস, পদ্মালাইন ইত্যাদি মানিকগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এসব বাসে মানিকগঞ্জে যেতে ভাড়া লাগবে প্রায় ৪০/- টাকা।

কোথায় থাকবেন
মানিকগঞ্জে থাকার জন্য হোটেল ও গেস্টহাউজগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
১। মানিকগঞ্জ রেসিডেনসিয়াল বোর্ডিং (বেসরকারি) ২০৮, শহীদ রফিক সড়ক, মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ; এখানে ১৬টি সিঙ্গেল এবং ১০টি ডবল কক্ষ রয়েছে। ফোনঃ ০৬৫১-৬১৩৫৯

২। নবীন রেসিডেনসিয়াল বোর্ডিং (বেসরকারি) মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড (নবীন সিনেমা হলের পাশে), মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ; এখানে ১৫টি সিঙ্গেল এবং ৭টি ডবল কক্ষ রয়েছে। ফোনঃ ০১৭১২৬১১৪৫২
৩। জেলা পরিষদ বোর্ড হাউজ (সরকারি), শহীদ মিরাজ তপন স্টেডিয়ামের পাশে, মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ; ফোনঃ ০৬৫১-৬১৪৬৩

খাবার সুবিধা: এখানে আশেপাশে খাওয়ার জন্য বেশকিছু রেস্টুরেন্ট ও হোটেল রয়েছে।
তথ্যসুত্র: অফরোড বাংলাদেশ ডটকম।

More News Of This Category