1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

দ্রুত ধনী হওয়ার শক্তিশালী ৬ উপায়!

কোটিপতি হতে চান? আর্টিকেলটি পড়ুন এবং জানুন কীভাবে শূন্য থেকে লাখপতি হওয়া যায়। আমরা সবাই কি একদিন না একদিন মিলিওনেয়ার লীগে যোগ দিতে চাই না? একটা সমৃদ্ধ জীবন এবং প্রয়োজনীয় কিংবা শখের সব জিনিসগুলো দামী বিলাসবহুল হবে এটা বলতে গেলে সবারই স্বপ্ন। কিন্তু তার জন্য আমাদের কি করতে হবে? বেশি কিছু নয়।

শুধু কিছু অলস সময়ে আমরা এটা নিয়ে ভাবি আর তারপর মস্তিষ্কের এক কোনায় রেখে দেই।ঠিক যে কোনায় থাকে আমাদের সব গুরুত্বহীন তথ্য যেগুলো ভুলে গেলেও ক্ষতি নেই।তবে এটা কিন্তু আপনাকে আপনার কোটিপতি হওয়ার চিন্তা থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে না। আপনি মনে করেন, যারা কোটিপতি তাঁরা কোটিপতি হয়েই জন্মগ্রহণ করেছেন।

আপনি কখনোই সে অবস্থানে যেতে পারবেন না। এই জন্মে তো নয়ই।তবে একটু ভাবুন তো, আমাদের সমাজে নিজের চেষ্টায় কোটিপতি হওয়া মানুষের গল্প কি নেই? ওয়ারেন বাফেট, বিল গেটস, জেফ বেজস এনারা তাহলে কীভাবে কোটিপতি হয়েছেন? এই মানুষগুলো খুব সাধারন পরিবার থেকে এসেছিলেন এবং শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছাশক্তি সংকল্প এবং বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কোটিপতি হওয়ার পথ তৈরি করেছেন।

শুরুটা হয় শুধুমাত্র একটা ভাবনা থেকে: সাধু, বিজ্ঞানী, মনোবৈজ্ঞানিক এবং প্রায় সকল সফল ব্যক্তি এই ধারণার সাথে একমত হন। আপনার জীবনে আপনি যা অর্জন করেন তার বেশিরভাগই একটি চিন্তার সাথে শুরু হয়। যদি আপনি একজন মিলিয়নেয়ার হয়ে উঠতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে একাত্ম হয়ে চিন্তা করতে হবে।

একাত্ম চিন্তাই চাবিকাঠি। বাস্তবিক চিন্তা এখানে কিছুটা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে পারে। তবে আপনি যদি একাগ্র চিত্তে চিন্তা করেন তাহলে অবশ্যই একটা পথ নিজেই তৈরি করতে পারবেন। অতএব যদি সত্যি আপনি কোটিপতি হতে চান, একাগ্র চিত্তে ভাবা শুরু করুন। আপনার সকল মানসিক শক্তি দিয়ে আমার লক্ষ্যকে ফোকাস করুন। আপনি নিশ্চয়ই পারবেন।

মানচিত্র তৈরি করুন: একবার আপনি আপনার জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন।এর পরবর্তী ধাপ হবে লক্ষ্য অর্জনের ধাপগুলোর মানচিত্র তৈরি করা।আপনি কখনোই রাতারাতি কোটিপতি হতে পারবেন না। কোটিপতি হওয়ার পথে আপনাকে অনেক ছোট ছোট পদক্ষেপ ফেলতে হবে। একটি মিলিয়নেয়ার হয়ে যাওয়ার যাত্রা (যদি না আপনি কোন জ্যাকপট না পান) একটি দীর্ঘ শিথিল ফ্লাইট ভ্রমনের মত হয়।

এটি অস্বস্তিকর এবং ক্লান্তিকর হতে পারে। ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ আপনাকে ফোকাস ধরে রাখতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ছোট ছোট প্রতিটি মাইল ফলক অর্জন ইতিবাচক শক্তিবৃদ্ধি হিসাবে কাজ করবে এবং আপনাকে লক্ষ্যের দিকে কাজ চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে। আপনি সবসময় একটি মানচিত্র এঁকে কাজ করবেন এবং মাইলফলক গুলো চিহ্নিত করে রাখবেন।

নিজের লক্ষ্য বাস্তবিক উপস্থাপনের মাধ্যমে আপনি যেকোনো ঝামেলা খুঁজে বের করতে পারবেন। মাঝেমাঝে শুধু লক্ষ্যগুলো লিখেও আপনি কীভাবে সেতা অর্জন করবেন এ ব্যাপারে অসাধারন স্বচ্ছতা পেতে পারেন । যদি আপনি আপনার দৃষ্টি লক্ষ্যের দিকে নির্দিষ্ট করে রাখেন কারো সাধ্য নেই আপনাকে আটকায়।

খরচ নিয়ন্ত্রন করুন: যখন আমরা বিত্তবানদের কোটি কোটি টাকা নগদ ব্যয় করতে দেখি, আমরাও তা করার জন্য প্রলোভিত হই। তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না যে এসব বিলাসিতা তাঁদের জন্যই আমাদের জন্য নয় যারা ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করতেই হিমশিম খেয়ে যাই।কোটিপতিরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে পারে তবে তাঁদের মধ্যে বিশেষ খরচের অভ্যাস ছিল শুরু থেকেই।

তাঁদের অনেকেই বিত্তবান হওয়ার পরেও হিসেব করে খরচ করে থাকেন। পৃথিবীর অনেক ধনী ব্যাক্তিরা এখনো হিসেব করেই খরচ করেন। ওয়ারেন বাফেট তাঁর অর্থ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অনেক লিখেছেন। তাঁর বিপুল পরিমান সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও বিনিয়োগ রাজা ওয়ারেন বাফেট খুব সাধারন জীবন যাপন করেন।

ইনভেস্টোপিডিয়ার মতে তিনি ১৯৫৮ সালে যে বাড়িটি কিনেছিলেন এখনো সেটাতেই বসবাস করেন এবং ১০০,০০০ ডলারের একটা বার্ষিক বেতন তুলে খরচ করেন। আপনাকে বাফেট হতে হবে না।কিন্তু যদি আপনি কোটিপতি হতে চান আপনাকে খরচ সংকোচন করা শিখতে হবে। এমন কিছু জিনিস আছে যেটা আমাদের দরকার আবার এমন কিছু জিনিস আছে যেটা আমরা চাই।

এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য করতে শিখুন। কিছুদিন পরেই দেখবেন আপনার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স মোটা হচ্ছে। অতিরিক্ত খরচ ধনী হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় শত্রু।যদি আপনি এটা নিয়ন্ত্রন করতে শিখে যান, বাকি সময়টাতে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। ধনী হওয়ার অর্ধেক পথ আপনি অতিক্রম করে ফেলেছেন।

খরচের ওপর খবরদারী আপনাকে ধনী হওয়ার পরেও সাহায্য করবে সম্পদ ধরে রাখতে। আপনি নিশ্চয়ই এমন ধনীদের গল্প শুনে থাকবেন যারা ধনী হওয়ার সাথে সাথেই দামি গাড়ি ব্যাক্তিগত উড়োজাহাজ কিনে ফেলেন আর আবার সম্পদের দিক থেকে দুর্বল হয়ে পরেন।এই গল্পগুলো কিন্তু সত্যি আর আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না তাঁদের দলে নাম লেখাতে। অতএব খরচের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

বুদ্ধিমানের মত বিনিয়োগ করুন: সঠিক বিনিয়োগ ধনী হওয়ার সহজ পথ। আমাদের সবারই ছোটবেলা থেকে কমবেশি সঞ্চয় করার অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু সঞ্চয় আপনাকে শুধু জরুরী অবস্থায় সাহায্য করতে পারে। সম্পদ সৃষ্টির ক্ষেত্রে সঞ্চয়ের কোন ভুমিকা নেই। কঠিন সময়ে যেখানে সঞ্চয় আপনাকে সাহায্য করবে সেখানে বিনিয়োগ আপনাকে সাহায্য করবে সম্পদ বৃদ্ধিতে।

কার্যকরী ও স্মার্ট বিনিয়োগ শুরু করুন যদি আপনি মিলিয়ন ডলার ক্লাবের সদস্য হতে চান। স্মার্ট বিনিয়োগ বলতে বোঝায় যেকোনো একটাতে বিনিয়োগ না করে বিভিন্ন যায়গায় বিনিয়োগ করা। উদাহরনস্বরূপ, মনে করুন আপনি ইকুইটি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলেন যেহেতু তাঁরা বৃহৎ অঙ্কের মুনাফা দিয়ে থাকে। পাশাপাশি ঝুঁকির বাইরে গিয়ে আপনি আপনার অর্থের একটা ভাগ ফিক্সড ডেপজিট ও করতে পারেন।

অপচয় করা বন্ধ করুন: আমাদের মধ্যে অনেকেই খাবার , বাড়তি কাপর অপচয় করি এবং পুরনো প্রযুক্তি ছেড়ে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে দেই কোন কিছু না ভেবেই। কোটিপতি হতে চান? শুধু প্রয়োজন পূরণ করে জীবন যাপন করতে শিখুন। সমস্যা সমাধান করতে শিখুন নতুন কিছু করার পরিবর্তে সেটা আপনার স্মার্টফোন ও হতে পারে বা জীবনের কোন সমস্যাও হতে পারে।

শুধু প্রয়োজনের মধ্যে জীবনযাপন করতে শিখে গেলে দেখবেন অনেক খরচই বাঁচাতে পারছেন। আপনি প্রতিদিন দামি রেস্টুরেন্টে খেতে পারেন, দামী কাপড়চোপড় পরতে পারেন যাতে আপনাকে দেখলে মনে হয় আপনি ধনী তবে এই জীবন খুব বেশিদিনের নয়।এর ফল খুব ভয়ানক। আদতে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে গরীব ভবিষ্যৎ। ধনী হতে চাইলে আপনার প্রয়োজনের মধ্যে জীবনযাপন করুন দেখবেন অল্প কদিনের মধ্যেই বিলাসিতা আপনার নাগালে চলে এসেছে।

থামবেন না; সামনে এগিয়ে চলুন: কোটিপতি হওয়ার পথ খুব একটা সহজ নয়। আবার অসম্ভব ও নয়। আপনি যদি লেগে থাকেন আপনি এটা পাবেনই এবং খুব দ্রুতই পাবেন। আপনি হয়ত শর্টকাট খুঁজে পাবেন তবে সেগুলো স্থায়ী নয়। অতএব সতর্ক হন এবং কোন কাজ করার আগে বার বার ভাবুন।

কিছু মানুষ ধনী হতে পারেন না কারণ তাঁরা রিয়েল এস্টেট মার্কেট নিয়ে কাজ করেন বা একটা নির্দিষ্ট স্টকে বিনিয়োগ করেন।তাঁদের কথা আলাদা। যদি আপনি কোন ঝুঁকি নেয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন নিশ্চিত হয়ে নিন আপনি সঠিক পথে সৎভাবে কাজটা করছেন কিনা।এবং অবশ্যই অন্য পরিকল্পনা তৈরি রাখুন যদি প্রথম পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়!

সবার শেষে, শেখা বন্ধ করবেন না। যেদিন আপনি শেখা বন্ধ করবেন আপনার সম্পদ বৃদ্ধি সেখানেই থেমে যাবে। বাইরে যান দুনিয়াকে আবিষ্কার করুন। বেশিরভাগ জিনিস আপনি শিখতে পারবেন আপনার অভিজ্ঞতা থেকে। সবসময় নিজেকে চ্যালেঞ্জ করুন। আপনার ক্ষমতার বাইরে কোন কাজ সামনে পরে গেলে চেষ্টা করুন। কোর্স করুন শিখুন মানুষের সাথে মিশুন। আরো অনেক কিছুই আছে যা বিত্তবানরা করেন।তবে উপরে যেগুলো বললাম একটা সুন্দর সূচনার জন্য এগুলোই যথেষ্ট। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

More News Of This Category