1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

নেপালকে ট্রানজিট সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে নেপাল। গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বৈঠকে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গায়ওয়ালি। বৈঠকে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরে একমত পোষণ করেছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।

সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন দেশটির সচিব শংকর দাস বৈরাগী, ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বানশিধর মিশ্র, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ইয়াগা বাহাদুর হামালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন এবং রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান (সচিব) ফাতেমা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নেপাল বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। নেপালের সঙ্গে এফটিএর জন্য দ্রুত কাজ চলছে। আমরা উভয় দেশ এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য একমত হয়েছি। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও চলছে। বাংলাদেশ নেপালকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছে। পাশাপাশি উভয় দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য সড়ক, নৌ ও আকাশপথ চালু করার বিষয়ে কাজ চলছে। এছাড়া নেপাল সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে।

টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে নেপালের। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ নেপালে ৩৮ দশমিক শূন্য ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে ১৮ দশমিক ১৩ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ এখন পাটজাত পণ্য, ব্যাটারি, তৈরি পোশাক, টয়লেট্রিজ পণ্য, ওষধুসহ বেশকিছু পণ্য নেপালে রফতানি করছে। উভয় দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এফটিএ স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নেপালের সঙ্গে বাণিজ্যে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ব্যবহার করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী দিনগুলোয় উভয় দেশের বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি পাবে। আগামী ৩ ও ৪ মার্চ ঢাকায় বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সচিব পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে এফটিএ স্বাক্ষর ও উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নেপাল বাংলাদেশকে খুবই গুরুত্ব দেয়। উভয় দেশের মানুষ ও জীবনযাত্রার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, নেপাল তার পরই অবস্থান করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং পর্যটক বিনিময়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা উভয় দেশ এ সুযোগ ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে চাই।

তিনি বলেন, নেপাল ভারতের সহযোগিতায় হাইড্রোপাওয়ার উৎপাদন করছে, যা বাংলাদেশে রফতানির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ নেপালকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদান করেছে, এজন্য নেপাল বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞ। তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা।

More News Of This Category