1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ আসবে স্বাধীন কার্ডে!

ফ্রিল্যান্সারদের আয় করা অর্থ দ্রুততম সময়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে চালু হলো ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম স্বাধীন কার্ড। বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়া এবং ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট সিস্টেম গেটওয়ে মাস্টারকার্ড পেওনিয়ার যৌথভাবে এ কার্ড চালু করেছে। রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নতুন এ কার্ড বাজারে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রথাগত পদ্ধতিকে পেছনে ফেলে নতুন এ প্রক্রিয়ায় ফ্রিল্যান্সাররা তাদের উপার্জিত অর্থকে টাকা এমনকি ডলারেও ট্রান্সফার করতে পারবেন। যা তাদের আগের কষ্টকর প্রক্রিয়াকে সহজ ও দ্রুততর করে তুলবে। এ সুবিধাটি উপভোগ করার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের স্বাধীন মাস্টারকার্ড, স্মার্টফোনে ব্যাংক এশিয়া স্মার্ট অ্যাপ এবং পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন। এখন ফ্রিল্যান্সিং আয় হাতে পাওয়া কিছু মুহূর্তের ব্যাপার মাত্র।

ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, মাস্টারকার্ড এবং বেসিসের সহযোগিতায় এ স্বাধীন মাস্টারকার্ড চালু হয়; যা বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রথম এ ধরনের পেমেন্ট সিস্টেম। এ সিস্টেমের মাধ্যমে তারা নিজেদের উপার্জন অনলাইন সেবার মাধ্যমেই পাবেন যা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেবে এবং বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের ডিজিটাল কমিউনিটির চাহিদাও পূরণ করবে।

ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংক এশিয়া স্মার্ট অ্যাপ ব্যবহার করে তাদের স্বাধীন মাস্টারকার্ডের সঙ্গে নিজস্ব পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত করতে পারবেন। একবার স্বাধীন কার্ড পেওনিয়ার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত হলে ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংক এশিয়া স্মার্ট অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেদের পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে যেকোনো সময় স্বাধীন কার্ডে টাকা পাঠাতে পারবেন। এ কার্ডটি এক্সপোর্ট রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) সম্বলিত, যা ফ্রিল্যান্সারদের তাদের আয়ের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মার্কিন ডলারে ব্যবহারের সুবিধা দেয়। এ সুবিধা ফ্রিল্যান্সারা তাদের কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়াও যদি একজন ফ্রিল্যান্সার তার সমগ্র উপার্জন টাকায় ব্যবহার করতে চান, তবে সেটিও স্বাধীন কার্ড ব্যবহার করে করা যাবে। এর সঙ্গে ফ্রিল্যান্সাররা স্থানীয়ভাবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে মাস্টারকার্ড এবং ব্যাংক এশিয়ার সমস্ত সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। ব্যাংক এশিয়ার আকর্ষণীয় অফারগুলোও ফ্রিল্যান্সাররা এ কার্ডের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন।

এ বিষয়ে মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, এটি মাস্টারকার্ড এবং ব্যাংক এশিয়ার একটি চমৎকার উদ্যোগ, যা আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী যখন আমরা বাংলাদেশকে ডিজিটালভাবে গড়ে তুলছি। পেওনিয়ারের সঙ্গে এ যৌথ উদ্যোগ স্বাধীন মাস্টারকার্ডে আরো মান সংযোজন করেছে, যা সুনির্দিষ্টভাবে ফ্রিল্যান্সারদের উৎসাহী করে তুলবে।

আমি আশা করি, ‘স্বাধীন মাস্টারকার্ড’ ব্যবহার করে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার তাদের কঠোর পরিশ্রমের অর্থ সম্ভাব্য দ্রুততম সময় হাতে পাবেন। এর আগে, ফ্রিল্যান্সারদের টাকা পেতে অনেক সংগ্রাম করতে হতো। তবে, এ পদক্ষেপ এখন সব ধরনের বাধা দূর করতে সমর্থ হবে।

ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরফান আলি বলেন, ‘স্বাধীন কার্ড ও পেওনিয়ারের একাকিত্ব বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার কমিউনিটি ও আইসিটি রপ্তানিকারকদের জন্য একটি মাইলফলক আয়োজন। এরমধ্য দিয়ে ফ্রিল্যান্সার এবং আইসিটি রপ্তানিকারকরা তাদের মূল্যবান উপার্জন স্থানীয় ও বৈদেশিক মুদ্রায় নিজেদের প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে পারবেন।

ব্যাংকিং সেবায় ব্যাংক এশিয়া সব সময়ই ব্যাংকিংয়ের ডিজিটাইশনে এগিয়ে রয়েছে এবং এ ব্যাংক তার প্রচলিত, ইসলামিক এবং এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশজুড়ে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে। নতুন এ অংশীদারিত্বে এখন ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংক এশিয়া স্মার্ট অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের অর্জিত অর্থ স্বাধীন কার্ডে ট্রান্সফার করতে পারবেন।

একইসঙ্গে তারা বৈদেশিক পেমেন্টের ক্ষেত্রে জমাকৃত অর্থের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রায় দিতে পারবেন এবং বাদবাকি অর্থ অথবা পুরোটাই নিকটস্থ যেকোনো এটিএম বুথ থেকে টাকায় উত্তোলন করে নিতে পারবেন। আমি এ ধরনের একটি উদ্যোগের অংশ হতে পেরে ভীষণ গর্ববোধ করছি।’

পেওনিয়ারের এশিয়া প্যাসিফিকের হেড প্যাট্রিক ডি কোর্সি বলেন, ‘স্বাধীন কার্ড একটি অসাধারণ উদ্ভাবন। পেওনিয়ার বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা পেমেন্ট সমাধান আনতে ব্যাংক এশিয়া এবং মাস্টারকার্ডের সঙ্গে কাজ করতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। এর মাধ্যমে তারা বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম। আমরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সেবা রপ্তানি শিল্পকে আরো শক্তিশালী করার জন্য উদ্ভাবন চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

বেসিসের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, ‘ই-কমার্সে বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নতির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। আমরা বিশ্বাস করি, মাস্টারকার্ডের মতো কোম্পানির সমর্থন ও সহায়তায় বেসিস এ দেশের ই-কমার্স খাতকে অধিকতর সমৃদ্ধি অর্জনের দিকে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে একত্রে এ সমন্বয় আরো একটি মাইলফলক।’ অনুষ্ঠানে এসময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

More News Of This Category