1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

ব্যাংকিং ডিপ্লোমা প্রফেশনাল কোর্স!

ব্যাংকিং ডিপ্লোমা একটি প্রফেশনাল কোর্স। ব্যাংকিং সেক্টরকে যারা ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়েছেন, তাদের জন্য ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পাস করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা এখনো Banking Diploma শেষ করেননি তাদের উচিত Banking Diploma শেষ করার জন্য উঠে পড়ে লাগা।
প্রায় সব ব্যাংকেই ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পাস করলে মেলে এককালীন আর্থিক পুরস্কার।

এছাড়া ব্যাংকিং ক্যারিয়ারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য Banking Diploma খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। Banking Diploma ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করবে, যে কোনো ব্যাংকে মূল্যায়ন পাবেন, এটা আপনার মেধার স্বীকৃতি, এটাকে হেলাফেলা করা কোনোভাবেই বুদ্ধিদিপ্ত কাজ হবে না।

ব্যাংকিং ডিপ্লোমার জন্য দুই ধাপে ৬+৬=১২ বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়। বছরে দুইবার (সাধারণত জুন ও ডিসেম্বর) পরীক্ষা হয়, যার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় সাধারণত এপ্রিল ও সেপ্টেম্বরে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (আইবিবি)। ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষার বিষয়সহ পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস পাওয়া যাবে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে (www.ibb.org.bd)। প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা পাস নম্বর ৫০।

১. প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর নিজের প্রাক্টিক্যাল ব্যাংকিং কাজের সঙ্গে মিলিয়ে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করুন। প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর না দিলে পাস করা কঠিন, তাই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিন সমান সময় ভাগ করে। ২. বাংলা বা ইংরেজি যে কোনো মাধ্যমেই পরীক্ষায় উত্তর করা যায়। তবে ইংরেজি মাধ্যমে উত্তর করলে বেশি নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ৩. বিগত বছরের কিছু প্রশ্ন যেগুলো আসতে পারে সেগুলো ঘেঁটে ঘেঁটে নোট বানাবেন যাতে খাতার presentation অন্যদের থেকে ভিন্ন হয়। আইবিবিএর ওয়েবসাইটে কিছু রিডিং মেটেরিয়ালস আছে সেগুলো পড়তে পারেন।

৪. খাতা পরিষ্কার রাখা। শুধু শুধু বেশি পাতার জন্য অনেক ফাঁক করে লিখে বা এক পৃষ্ঠায় কয়েকটা মাত্র লাইন লিখে কোনো লাভ নেই। ৫. ব্যাংকিং ডিপ্লোমায় সহজে পাস করার জন্য বিগত সালের প্রশ্ন সমাধান করতে হবে। বিগত সালের প্রশ্ন সমাধান করতে পারলেই ৫০ শতাংশ প্রশ্ন কমন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ৬. প্রশ্নের উত্তরের প্রতিটা পয়েন্ট হাইলাইট করে দেয়া। ৭. কিছু বিষয় আছে ডায়াগ্রাম রিলেটেড, সে সব প্রশ্নে ডায়াগ্রাম অবশ্যই দিবেন যেগুলো প্রশ্নে বলে দেয়া থাকবে না। এই সব প্রশ্নে ডায়াগ্রাম না দিলে আপনি যাই লিখেন ২০% এর বেশি নম্বর পাবেন না।

৮. সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সেটা হলো উদাহরণ। প্রতিটা প্রশ্নের সঙ্গে ব্যাংকের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার উদাহরণ। এটা কোনো বইয়েই থাকে না, কেউ দেখে দেয় না, কিন্তু এটা হাইলাইট করে দিতে হয়। তাই সবকিছু নিজের ভাষায় লেখার চেষ্টা করুন। ৯. Through The Point লেখা। আপনি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিজের ভাষায় লিখবেন। বইয়ের ভাষায় (কপি) লিখে লাভ নেই। যারা আপনার খাতা দেখছেন তারা বিষয়টা বুঝতে পারেন।

১০. একটি প্রশ্নের ভেতরে ক, খ, গ ভাগ থাকলে অবশ্যই প্রশ্নের উত্তর শেষ করে অন্য প্রশ্নের উত্তর দিন। ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় পাসের কোনো বয়স নেই। তবে চাকরির শুরুর দিকে পাস করাই বুদ্ধিমানের কাজ। বয়স ও চাকরি জীবন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ততা বাড়ে, বাড়ে জটিলতা। তাই পরীক্ষায় পাস করাও কঠিন হয়ে যায়। তাই প্রথম দিকেই ব্যাংকিং ডিপ্লোমা শেষ করাই শ্রেয়।

উপরোক্ত বিষয়গুলো একটু খেয়াল রাখলেই খুব সহজে আপনি ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পাস করতে পারবেন। ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পাসের মাধ্যমে আপনার ব্যাংকিং ক্যারিয়ার হয়ে উঠবে সাফল্যমণ্ডিত।

তথ্যসূত্র: মানবকন্ঠ ডটকম।

More News Of This Category