1. editor@islaminews.com : editorpost :
  2. jashimsarkar@gmail.com : jassemadmin :

মাত্র ৫ হাজার টাকায় শুরু করুন স্ক্রিণ প্রিন্টের ব্যবসা!

মানুষ সব সময়ই ব্যাতিক্রম কিছু খোজে। কে না চাইবে তার গায়ের টি শার্টে তার নাম থাকুক? কিংবা হাতের মগটিতে চকচক করুক নিজেরই নাম। সবাই তাই চাইবে। আর এ সবই সম্ভব হয় স্ক্রিন প্রিন্টের কারনে। আজকাল বিজ্ঞাপন, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড তৈরিতে স্ক্রিন প্রিন্টের ব্যবহার হয়। তবে সবচেয়ে বেশি প্রিন্ট হয় টি শার্টে।

দেশে এখন ফ্যাশনেবল তরুণের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে স্ক্রিন প্রিন্টের ব্যবসার সম্ভাবনাও বাড়ছে। এই ব্যবসায় তেমন দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। মাত্র ২/৩ দিনেই কাজ শিখে ব্যবসা শুরু করা যায়। স্ক্রিন প্রিন্টের সার্ভিস দিয়ে অনেক তরুণ বেকারত্ব ঘুচিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন। মাত্র কয়েক হাজার টাকা নিয়েই শুরু করা।

পুঁজি কম হলেও মাস শেষে বেশ ভাল অংকের টাকা আয় হয়। এই ব্যবসায় কোন ঝুকি নেই। আপনি ভাবছেন কিভাবে কি করবেন? চিন্তার কিছুই নেই। আমি আপনাকে সেই পথ বাতলে দিচ্ছি। চলুন দেখে নেই কিভাবে স্ক্রিন প্রিন্টের ব্যবসা করবেন।

শুরুটা করবেন কিভাবেঃ সাধারণত উপজেলা, জেলা শহর, বড় কোন বাজারে স্ক্রিন প্রিন্টের ব্যবসা ভাল চলে। তবে রাজধানীঢাকার নিউমার্কেট, কাঁটাবন, পল্টন, ইসলামবাগ হলো স্ক্রিন প্রিন্ট ব্যবসার মূল কেন্দ্রস্থল। ছোট খাট অফিস নিয়ে প্রথম দিকে নিজেই নিজেই শুরু করা যায়। পরবর্তীতে অর্ডার বেড়ে গেলে ২/৩ জন কর্মচারী নিতে পারেন। কাজের মান ভাল হলে এমনিতেই অর্ডার অনেক বেড়ে যাবে।

প্রশিক্ষণঃ সবচেয়ে ভাল হয় স্ক্রিন প্রিন্টের উপর প্রশিক্ষণ নিলে। তাতে আপনি হাতে কলমে শিখতে পারবেন। সরকারিভাবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনে স্ক্রিন প্রিন্টের ওপর দু’দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ জন্য ৫০ টাকা ভর্তি ফরম এবং ৩০০ টাকা প্রশিক্ষণ ফি বাবদ খরচ হবে। ঠিকানা : প্রধান নকশাবিদ, নকশা কেন্দ্র, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), ১৩৭-১৩৮ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ স্ক্রিন প্রিন্ট করতে হলে আপনাকে বেশ কিছু উপকরণ কিনতে হবে। সেগুলো হলো রেডি টেবিল, ফ্রেম, বিভিন্ন ধরনের লিকুইড রঙ, রাবার, এম ৫০, এনকে ফাইন্ডার, প্ল্যাস্টিক ডিজাইন সেট।

পুঁজি লাগবে কতঃ দোকান ভাড়া বাবদ ৩০-৫০ হাজার, একটি রেডি টেবিল, যার দাম দুই হাজার টাকা ও ফ্রেম প্রতিটি ৪০০ টাকা। বিভিন্ন ধরনের বেসিক লিকুইড রঙ কেজিপ্রতি বিক্রি হয় ২০০ থেকে ৪০০ টাকায়। রাবার প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, এম ৫০ প্রতি কেজি ৩০০ টাকা ও এনকে ফাইন্ডার প্রতি কেজি ২০০ থেকে ৪৫০ টাকা।

সব মিলে ৬০,০০০ টাকা হলেই প্রাথমিকভাবে এই ব্যবসা শুরু করা যাবে। তবে আপনার পুঁজি বেশি হলে বড় পরিসরে শুরু করতে পারেন। তবে আপনি চাইলে একাকী মাত্র ৫০০০ টাকা দিয়ে নিজের বাসাতেই স্ক্রীন প্রিন্টের যাবতীয় সরঞ্জাম কিনে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ঝুকি কেমনঃ এই ব্যবসায় ঝুকি একবারে নেই বললেই চলে। তবে প্রিন্টিং এর মান খারাপ হলে কাস্টমার কমে যাবে।

মুনাফা হবে কতঃ প্রতিটি টি শার্ট প্রিন্টিং এ লাভ থাকে ৫০ টাকা, ব্যানারে ২০০-৩০০ টাকা, মগের উপর প্রিন্টিং ৩০-৫০ টাকা, সিরামিক সাগগ্রীর উপর প্রিন্টিং এ ৫০-৬০ টাকা লাভ থাকে। প্রতি মাসে সব খরচ বাদ দিয়ে অনায়াসেই ১৫,০০০-২০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

More News Of This Category